করোনার সংক্রমণে দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিবাদ থেমে থাকবে না। অন্যায় হলে মানুষ প্রতিবাদ করবেই। আমরা মানুষের পাশে থাকি তাই আমরাও প্রতিবাদ করব। এই করোনা লকডাউন সিচুয়েশনে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এক ফেসবুক বার্তায় লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা লকডাউনে রেশন নিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে রাজ্যের। কেন্দ্রের চাল রেশনে যাচছে না, চলে যাচ্ছে সোজা কোনও বেসরকারি মিলে। সেখানে গিয়ে তৃণূল নেতারা বণ্টন করে নিচ্ছেন। মানুষই বলছে তৃণমূল নেতারা চাল চোর।
লকেট বলেন, এতদনি খাদ্যসাথী নাম দিয়ে কেন্দ্রের চাল, ডাল, গম দিচ্ছিল রাজ্য সরকার। মুখে বলছিল, এসব কিছুই কেন্দ্র দেয় না, রাজ্যই সব কিছু দিচ্ছে। তাই এই খাদ্যসাথী প্রকল্প রাজ্যের। এখন কঠিল সময়েই বোঝা যাচ্ছে কারা চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রেশনের দ্রব্য পাঠায়। রাজ্য এখন চিৎকার করছে, কেন্দ্র চাল,ডাল, গম পাঠাচ্ছে না। এখানেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে রাজ্য এতদিন মিথ্যা বলত।
তাও কেন্দ্র যে সব চাল পাঠাচ্ছে তা লুঠ করে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। মানুষ দেখতে পচ্ছে চাল লুঠ করছেন কারা। তাই ২০২১-এর জবাব দিতে হবে তৃণমূলকে। দিতে হবে খেসারত। মানুষ জবাব চাইবে চাল চোর তৃণমূলের কাছে। লকেটের কথায়, আর কোনও ইস্যু নয়, ২০২১-এ একটাই স্লোগান হবে ‘চাল চোর তৃণমূল’।
লকেটের আরও ব্যাখ্যা, তৃণমূল চাল নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু করেছে। চাল নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। কে কত চাল হাতাতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এই তো টিকিয়াপাড়ায় পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার পর হামলাকারীদের বাড়িতেই বস্তা বস্তা চাল চলে গেল। আর বাদুড়িয়ায় কী দেখলাম চাল না পেয়ে মা-বোনেরা হাহাকার করছে। এই অবস্থা রাজ্য সরকারের।
তাই ২০২১-এ মানুষই জবাব চাইবে। যারা মানুষের সঙ্গে আছেন, মানুষ তাঁদেরকেই জেতাবে। তৃণমূল মানুষের সঙ্গে নেই, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। মানুষ তাই সময় এলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে রাজ্যের সরকারকে। রাজ্য সরকার শুধু মুখে বড় বড় কথা বলছে। আর রাজনীতি করে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতি করার সময় এখন নয়।