সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন। প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জিকরণের ফলে নাগরিকত্ব হারানর আশঙ্কাও দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মত জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছে আন্দোলনকারীদের।
কোথাও পুলিশের লাঠির আঘাতে কারোর মাথা ফেটেছে, তো কোথাও আবার সামনে এসেছে পাথর ছোঁড়ার মত ঘটনা। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে সশস্ত্র পুলিশের। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য সাফ জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রের সিএএ এবং এনআরসি তারা মেনে নেবেন না।
এই পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়া হল। ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে চিঠি দেন কেরলের এক বাসিন্দা। আরটিআই বা রাইট টু ইনফরমেশনের আওতায় এই তথ্য জানতে চান তিনি। কেরলের চালাকুড্ডী মিউনিসিপ্যালিটির পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে চিঠি দেন জোশ কাল্লুভিত্তিল নামক ওই বাসিন্দা। যেখানে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলছে অশান্তি, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার ঘটনা নজর কেড়েছে সব মহলের।