একবার রাম মন্দির হলেই মোদীর নেতৃত্বে কায়েম হবে রামরাজ্য, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

অযোধ্যায় ভূমিপূজনের আগের দিন সবাইকে প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রামমন্দির তৈরি হলে দেশের ভাগ্য ফিরবে। তাঁর কথায়, “আমি বরাবরই ভাবতাম, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই রামমন্দির তৈরি হবে। মোদীর নেতৃত্বেই দেশে রামরাজ্য আসবে। আমি সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, ৪ ও ৫ অগাস্ট বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালান।” করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিবরাজ সিং চৌহান এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

আগামী বুধবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করবেন মোদী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। সেই সঙ্গে থাকবেন অন্তত ২০০ পুরোহিত।

করোনা অতিমহামারীর পরিস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠান নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। রামজন্মভূমি চত্বরের এক পুরোহিত এবং সেখানে প্রহরারত ১৪ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভূমিপূজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি করোনা পজিটিভ হয়েছেন। মন্দির ট্রাস্ট অবশ্য বলেছে, ভূমিপূজনের অনুষ্ঠান নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে।

উত্তরপ্রদেশে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ২৩। এরই মধ্যে শুরু হচ্ছে মন্দির নির্মাণের কাজ। আগে যে আয়তনের মন্দির তৈরি হবে বলে ভাবা হয়েছিল, বাস্তবে মন্দিরের আকার হতে চলেছে তার দ্বিগুণ। গতবছর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রামমন্দির নির্মাণের পথ তৈরি হয়। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে শহরে পাঁচ একর জমি দিতে হবে।

করোনা সংকটের সময়ে রামমন্দিরের ভূমিপূজনের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর সাফ কথা, এই সময়ে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ভিডিও কনফারেন্স তথা ভার্চুয়াল ভূমিপূজন হতে পারত।

উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার সভাপতি। রাম জন্মভূমি আন্দোলনে শিবসেনারও ভূমিকা কম ছিল না। তাও স্মরণ করিয়ে দেন বালাসাহেব-পুত্র। রবিবার শিবসেনার মুখপত্র সামানায় উদ্ধবের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। উদ্ধবের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ রামভক্তদের কাছে এটা একটা বড় দিন। অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাঁদের আটকে যদি বড় মাথারা সেখানে গিয়ে ভূমিপূজন করেন তাহলে তাঁদের ভাবাবেগে ধাক্কা লাগবে। তিনি আরও বলেন, “রামমন্দির কোনও সাধারণ মন্দির নয়। এর পিছনে রয়েছে লম্বা ইতিহাস।”

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমি চাইলে ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারি। কিন্তু আমি চাই না লক্ষ লক্ষ রাম ভক্তকে আটকে দিয়ে নিজে যেতে। এটা তাঁদের আবেগের সঙ্গে তঞ্চকতা করা হবে।” ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্র থেকে কয়েক হাজার শিব সৈনিককে নিয়ে অযোধ্যায় গিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন উদ্ধব। সরযূ নদের তীরে বসে দাবি জানিয়েছিলেন, দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণের ফয়সালা করতে হবে।