দরিদ্র আর ভিখারিদের জন্য বানানো আবাসন দখল নিলো তৃণমূল নেতারা, হতবাক এলাকাবাসী!

মাই ইন্ডিয়া ডেস্কঃ কোচবিহারের দরিদ্র ভিখারিদের জন্য তৈরি হয়েছিল ঠিকানা,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ড্রিম প্রজেক্ট এর মধ্যে একটি ছিল অন্যতম। আর সেই ঠিকানায় এখন ঠিকানা হয়ে উঠেছে কোচবিহার রামপুরহাটের 10 জন পঞ্চায়েত সদস্য। শুধু তারাই নয় আছে তাদের পরিবার বর্গ। মহিলা পুরুষ মিলিয়ে প্রায় 30 জন রয়েছে সেখানে।

ঠিকানায় আশ্রয় নিয়ে আছেন মহিশকুচি 1 ও বড়কোদলি 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। ঠিকানায় বসবাসরত দেবাশীষ দাস জানান, প্রায় দু মাসের বেশি সময় থেকে তারা সেখানে রয়েছেন। তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত। এলাকায় লাগাতার বিজেপি সন্ত্রাস তাদেরকে এখানে থাকতে বাধ্য করেছে। তাদের অভিযোগ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তাই তারা বাধ্য হয়েই আজ ঠিকানায় আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। তাদের এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে তৃণমূলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।

যদিও বা স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ দেবনাথ, কমল নাথ প্রধান দের কথায়, এই ঠিকানা আশ্রয় টি ভাড়ার বিনিময়ে দিয়ে থাকেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। যারা রয়েছেন তারা সকলেই ভাড়া দিয়ে রয়েছেন।পুরো ঘটনার উপরে আলোকপাত করে কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান ভূষণ সিং বলেন, ঠিকানা ভবনটি কোটি টাকা খরচা করে তৈরি করা হয়েছিল কোচবিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকার ভিখারিদের থাকার জন্য। পুলিশ প্রশাসন পৌরসভার সকল চেষ্টা করেও তাদেরকে এখানে রাখা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে বিজেপির সন্ত্রাসের ফলে এই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাদের পরিবারের আজ নিরাশ্রয় তাই মানবিকতার স্বার্থে তাদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এতে কোন দোষের বিষয় নেই। একইসাথে তিনি বলেন, যারা এখানে রয়েছে তাদের কাছ থেকে কোনরকম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ভাড়ার বিষয়ে কেউ কিছু বলে থাকলে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।